রিকশাওয়ালা
দাউদাউ করে জ্বলছে চৈত্র দুপুর
খড় রৌদ্রের অগ্নি উত্তাপে পরিপূর্ণ শহর
দুজন সাহেব ওঠে বসে রিকশার গদিতে
বৃদ্ধ অক্টোপাশের মতো পেঁচিয়ে ধরে হাতল
দাঁতে দাঁত ঠোকর বসিয়ে চালায় দাড়াশ পা।
স্টেশন, জজ কোর্ট মোড়, সদর হাসপাতাল, করতোয়া ব্রীজ পেরিয়ে চলে যায় ওপারে
হয়তো কোনো অাবাসিক এলাকায়, অথবা নিষিদ্ধ পল্লিতে।
বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোর বিশৃঙ্খল ভিরে
রিকশা চলে মন্থর গতিতে
অতিষ্ট অারোহী তীক্ষ্ণ কণ্ঠ খেঁকিয়ে ওঠে
জোরে চালাও, অারো জোরে।
বৃদ্ধের অনু-চক্রিকা বারুদের মতো জ্বলে ওঠে
মারাত্মক ফোনা তোলে অজগরের মতো
ফোঁস ফোঁস শব্দ বেরিয়ে অাসে প্রতিটি নিশ্বাসে নিশ্বাসে।
হঠাৎ রক্তবীথি নিস্তেজ হয়ে অাসে
বিষণ্ণ চিত্র গ্রাস করে জীবনের স্বস্তি
ফোটা ফোটা ঘাম গড়িয়ে পরে মাটিতে।
যৌবন হাঁরা বেশ্যার মতো সন্ধিহান দুটি চোখ
অাকাশের দিকে তাঁকায় ঈশ্বরের খোঁজে
চোখের সীমান্তে স্ত্রী-সন্তানের ক্ষুধাতুর ভৎস্য মুখ ভেসে ওঠে
ডাল, ভাত, অালুভর্তা হলে যাদের ক্ষুধার চিনচিনে ব্যথাটা মরে।
অন্ধকার ভাঙা সূর্য ওঠার সাথে সাথে
পচাঁ-বাসি ভাত খেয়ে বেরিয়ে এসেছে শহরের এ পথে
যে পথে মানুষ জীবনের চাহিদা মেটাতে অাসে।
রোদ-মেঘ, জ্যোৎস্না-অমাবর্সায়
দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর, যুগ চলে যায়
তার জীবন যুদ্ধ থাকে অহর্নিশি!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন